Thursday, March 10, 2016

Drug Addiction/Alcoholisn/ madoka sokti

প্রথম অধ্যায়

১.১ ভূমিকাঃ

          মাদকতা ইংরেজি প্রতিশব্দ উৎঁম অফফরপঃরড়হ/অষপড়যড়ষরংহ। আর ‘ইংরেজি ‘ড্রাগ’ শব্দটি ইতালীয় মূল শব্দ ‘ড্রাগ’ থেকে এসেছে। আর অর্থ গাছ-গাছড়া থেকে আহরণ করা। শুস্ক ঔষধি, ড্রাগের বাংলা প্রতিশব্দ ‘ ভেষজ বা মাদক ’ যা সেবনে আসক্তি সৃষ্টি করে। সাধারণত মাদকাসক্তি হল মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্তি। মাদকদ্রব্যের প্রতি কোন ব্যক্তির ক্রমাগত নির্ভরশীলতাকেই মাদকতা বলে ধরা হয়। মাদকতা মূলত এক ধরনের অবস্থা যেখানে ব্যবহৃত মাদকের প্রতি ব্যবহারকারী শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, মাদকের প্রতি সে তীব্র আকর্ষণ অনুভব করে এবং এরই সাথে মাদক গ্রহণের মাত্রা বা পরিমাণ দিনে দিনে বৃদ্ধি পেতে থাকে। উল্লেখ্য, যেকোন ধরনের ‘আসক্তি’ হল নিউরোট্রোন্সমিশন (Drug Addiction/Alcoholism ), স্ব-আবেগিত এমন এক পরিবর্তন যা সমস্যা সৃষ্টিকারী আচরণের সৃষ্টি করে। ‘আসক্তি’ এর এই ধারণার আলোকে বলা হয় যে, মাদকতা হল একটি স্নায়ূবিক ধারণা বা বিষয় যার প্রভাবে আসক্ত ব্যক্তির আচার-আচরণে অসামঞ্জস্যতা ও অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়।

          বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মাদকাসক্তির সংজ্ঞাতে বলা হয়েছে, “ নেশা বা মাদকাসক্তি হচ্ছে ব্যক্তি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর এমন একটি মানসিক বা শারীরিক প্রতিক্রিয়া যা জীবিত প্রাণী ও মাদকের মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি হয়। WHO অন্যত্র বলেছে, “ Drug addiction is a state of periodic or chronic intoxication detrimental to the individual and the society produced by the repeated consumption of a drug (natural or synthetic)” অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বেশি পরিমাণে কোন মাদক (প্রাকৃতিক বা বিজ্ঞানসম্মতভাবে তৈরিকৃত) ঘন ঘন গ্রহণ করে এবং এর ফলে সমাজ এবং নিজের জন্য ক্ষতিসাধন করে।

          আবার মাদকাসক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, “ Drug addiction is the habitual use of certain narcotics that leads in the time to mental and moral deterioration as well as to deterious to social effects." অর্থাৎ মাদকাসক্তি কিছু নির্দিষ্ট মাদকের প্রতি অনবরত অভ্যাসকে বুঝায় যা মানসিক ও শারীরিকভাবে অধঃপতন ঘটায় এবং যা সমাজের উপরও কুপ্রভাব সঞ্চার করে।


মাদকতা সম্পর্কে ঘবি New Illustrated Columbia Encyclopaedia তে বলা হয়েছে,
"Drug addiction is chronic or habitual use of any chemical substance to alter states of body or mind for other than medically warranted purposes." অর্থাৎ মাদকাসক্তি হল যে কোন রাসায়নিক দ্রব্যের জটিল অথবা অভ্যাসগত ব্যবহার যা চিকিৎসাগত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ছাড়াও শরীর এবং মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে।

মাদকতা মূলতঃ তিনটি বিষয় বা প্রেক্ষিতের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত এগুলো হল-মাদকদ্রব্যের উপর অধিক নির্ভরশীলতা; মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি এবং শারীরিকভাবে মাদকের প্রতি নির্ভরশীলতা। মাদকাসক্তি মূলত এক ধরনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা যার দরুন কোন ব্যক্তি মাদক বা ড্রাগের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এগুলো গ্রহণের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে এবং এর ফলে তার আচরণে অসংলগ্নতা দেখা দেয় এবং সে বিচ্যুত আচরণ করে।

১.২ গবেষণার বিষয়বস্তুঃ

এই গবেষণাপত্রে মাদকাসক্তি ও সাম্প্রতিক সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং মাদকাসক্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নিয়ে ও আলোচনা করা হয়েছে। মাদকাসক্তির প্রভাব ও সমাধান নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে।

১.৩ গবেষণা পত্রের উদ্দেশ্যঃ

বর্তমানে বিশ্বে যেসব সামাজিক সমস্যা মানুষকে সবচেয়ে বেশী আতঙ্ক গ্রস্থ করে তুলেছে মাদকাসক্তি তার মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর সব দেশেই এর প্রভাব লক্ষনীয়। এ সমস্যা সমাজের এমন অংশকে আক্রমন করে যারা প্রধানত সমাজের মূল চালিকাশক্তি। অর্থাৎ যুব সমাজের এক বিরাট অংশকে এ সমস্যা অকর্মন্য করে ফেলে। ফরে সমাজে দেখা দিচ্ছে নানা রকম হতাশা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অত্যার্চা। মাদকাসক্তি নিয়ে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে আলোচনা বা গবেষণা করা হচ্ছে। যাতে করে এর কবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করে সুস্থ ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা যায়। সমাজে যাতে কোন প্রকার অন্যায়, অত্যাচার, হতাশা, নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয় তাছাড়া মাদকামূক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বা উদ্দেশ্যে আমার এই গবেষণা পত্র তৈরী করা হয়েছে।

১.৪ তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিঃ

যে কোন গবেষণার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সাধারণত গবেষণায় দুটি উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যথা-

ক) প্রাথমিক উৎস

খ) মাধ্যমিক উৎস

বর্তমান গবেষণার তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পদ্ধতি হিসেবে মাধ্যমিক উৎসকে ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন লেখকের সামাজিক সমস্যা বই সাময়িকী পত্র পত্রিকা, সরকারি উদ্যেগে প্রকাশিত রিপোর্ট বা প্রতিবেদনের সাহায্যে নেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

২.১ মাদকাসক্তির বৈশিষ্ট্যঃ

          Remarkable Characteristics of Alcoholism Person
          মাদকতা ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যা সবকিছুর উর্ধ্বে মাদকদ্রব্যের প্রতি তীব্র আকর্ষণ ঘটায়। নিম্নে এর উপাদানগুলো উল্লেখ করা হলো ঃ

          প্রথমতঃ মাদকতা হলো মাদকের উপর নির্ভরশীলতা। এই নির্ভরশীলতা শারীরিক, মানসিক, সকলদিক থেকেই হতে পারে।

          দ্বিতীয়তঃ মাদকতা হলো মাদকদ্রব্য গ্রহণের তীব্র আকর্ষণ যা আসক্ত ব্যক্তিদের মাঝে পরিলক্ষিত হয়।

          তৃতীয়তঃ মাদকতা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের বেলায় মাদকদ্রব্য গ্রহণের পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়।

          চতুর্থতঃ মাদকতা আসক্ত ব্যক্তির আচরণে অসংলগ্নতা ও অসামঞ্জস্যতা সৃষ্টি করে।

          পঞ্চমতঃ এটি আসক্ত ব্যক্তির শারীরিক ও স্নায়বিক কর্মকান্ডে দীর্ঘমেয়াদি ও প্রকট প্রভাব ফেলে।

          ষষ্ঠতঃ মাদকতা যে শুধুমাত্র ব্যক্তির উপর প্রভাব বিস্তার করে তা নয়; এটি ব্যক্তির পাশাপাশি দল, পরিবার, সমষ্টি তথা গোটা সমাজব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব রাখে।



২.২ মাদকতা ব্যক্তির লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্যঃ

          জবসধৎশধনষব ঈযধৎধপঃবৎরংঃরপং ড়ভ অষপড়যড়ষরংস চবৎংড়হ

এ দেশে মাদকতা ক্রমবর্ধমান হার এবং এ সম্পর্কিত সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে সমাজের প্রায় প্রতিটি পরিবার বাবা-মা এবং সমাজ সচেতন ব্যক্তি চিহ্নিত ও উদ্বিগ্ন। মাদকতা সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে মূলত তরুণ এবং উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের মাঝেই মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। আবার মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই মাদকের প্রতি বেশি আসক্ত। এমনি প্রেক্ষিতে পারিবারিক পরিবেশ একজন সচেতন বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যরা যে সকল বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণের ভিত্তিতে ছেলে বা মেয়ে মাদকাসক্ত কি না তা বুঝতে পারেন তার মধ্যে অন্যতম হলো-

১.      ছেলে-মেয়েদের আচরণে হঠাৎ অস্বাভাবিক পরিবর্তন, অন্যমনস্কতা ও একাকী সময় কাটানোর চেষ্ট;

২.     অসময়ে ঘুম ভাব বা ঝিমুনি আসা;

৩.     চোখে-মুখে সবসময় অপারাধের অভিব্যক্তি প্রকাশ;

৪.     বিরক্তিকর ব্যবহার, মেজাজের রুক্ষতা এবং অসংলগ্ন কথাবার্তা;

৫.     পোশাক-আশাকের প্রতি অমনোযোগিতা এবং ময়লা কাপড়-চোপড় পরিধান এবং অপরিচ্ছন্ন থাকা;

৬.     নির্জন স্থানে, বিশেষত অন্ধকার ঘরে এবং স্নানাগার বা শৌচাগারে অধিক সময় ব্যয়;

৭.     চোখ ঘোলাটে ও দৃষ্টি অস্বাভাবিক থাকা;

৮.     ক্ষুধামন্দা ও কম খাবার প্রবণতা;

৯.     বিলম্বে ঘুম থেকে উঠা এবং অধিক রাত পর্যন্ত জাগা;

১০. অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সাথে হঠাৎ করেই চলাফেরা, কথাবার্তা ও সম্পর্ক সৃষ্টি;

১১.  অপরিচিতত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি পুরোনো বন্ধুবান্ধবদের সাথে সম্পর্কের অবনতি;

১২. বেহিসাবী খরচ, ঋণ করার প্রবণতা এবং টাকা পয়সার হিসাব মেলাতে না পারা;

১৩. অভিভাবক ও আত্মীয় স্বজনের মুখোমুখি না হওয়ার চেষ্টা করা ও তাদের সঙ্গ তথা সাহচর্য এড়িয়ে যাবার প্রবণতা;

১৪. খেলাধুলা ও স্বাভাবিক চিত্তবিনোদনের প্রতি অনাগ্রহ;

১৫. মাঝে মাঝে প্রচন্ড অস্থিরতা প্রকাশ, চিৎকার চেচাঁমেচি করা ও শরীরে খিঁচুনি হওয়া।

উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো সবগুলোই যেকোন মাদকতা ব্যক্তির ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় তা নয়।

বরং ব্যক্তি ভেদে এ সমস্ত পরিলক্ষিত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে তারতম্য দেখা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে কেবল একটি বৈশিষ্ট্যই আসক্ত ব্যক্তির মাঝে ধরা পড়ে, আবার কখনও বা একাধিক লক্ষণ একই ব্যক্তির প্রকাশ পাবে এবং প্রকাশিত লক্ষণের মাত্রা কিরুপ হবে তা আসক্ত ব্যক্তি কর্তৃক গৃহীত মাদকের প্রকৃতি, মাদকের পরিমাণ এবং তার শারীরিক, মানসিক ও স্নায়ুবিক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে।



২.৩  মাদকতার গতিপ্রকৃতিঃ

          ঞৎবহফং ধহফ ঘধঃঁৎব ড়ভ অষপড়যড়ষরংস

          মাদকতা বর্তমানের এক সর্বগ্রাসী সমস্যা। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই এটি ভয়াবহ এক সামাজিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত। তবে বাংলাদেশে মাদকাসক্তি এবং মাদকদ্রব্যের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কেননা অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের তিনটি প্রধান আফিম ও আফিমজাত পণ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়ায় এদেশে নেমা জাতীয় পণ্যের সহজলভ্যতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি সমস্যাটির ব্যাপকতা ও ভয়াবহতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। বাংলাদেশে মাদকতার যথাযথ পরিসংখ্যানিক উপস্থাপন করা বেশ দুরুহ ব্যাপার। কেননা, সাম্প্রতিক সময়ে যদিও পত্র পত্রিকায় মাদকাসক্তি নিয়ে বিশেষভাবে লেখালেখি করা হচ্ছে কিন্তু মাদকতার উপর পূর্ণাঙ্গ কোন গবেষণা এবং উক্ত গবেষণালব্ধ পরিসংখ্যানিক তথ্য উভয়েরই যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বিগত শতাব্দীর ৯০’র দশকের গোঁড়ার দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, তৎকালীন সময়ে দেশে কেবল হিরোইন সেবীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক লক্ষ এবং ঐ হিসেবেই বলা হয় যে, অন্যান্য মাদকদ্রব্য যেমন- ফেনসিডিল, চোরাই মদ, গাঁজা, ভাং, মরফিন, স্পিরিট ইত্যাদিতে আসক্তদের সংখ্যা যদি যোগ হয় তাহলে মোট মাদকতার সংখ্যা নিঃসন্দেহে উক্ত সংখ্যার কয়েকগুন বেশি হবে।

          আবার সরকারি হিসেবে ১৯৯১-৯২ সালে ঢাকা শহরের শুধূ মোহাম্মদপুর অঞ্চলেই ৪০ হাজারের মত মাদকাসক্ত ব্যক্তি থাকার কথা উল্লেখ করা হয় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হলো হিরোইনসেবী। তবে হিরোইনের ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘের উৎঁম ঈড়হঃৎড়ষ চৎড়মৎধস এর আওতায় তিনটি শহরে পরিচালিত সমীক্ষায় প্রায় ১০ লাখের মত মাদকসক্তের কথা বলা হয়েছে।

          সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা তথা জাতীয় দৈনিক এবং সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সংবাদ ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, মূলত তরুণ সমাজের মাঝেই মাদকের প্রতি আসক্ত হবার প্রবণতা বেশি। অন্যান্য বয়সীদের মাঝে মাদকাসক্তের হার বা প্রবণতা যে নেই তা নয়; কিন্তু তরুণ ও যুব সমাজেই এই মরণ নেশায় সর্বাধিকভাবে আক্রান্ত ও আসক্ত। আবার সারাদেশেই মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্ত ব্যক্তি থাকলেও গ্রাম ও শহরের তুলনামূলক প্রেক্ষিত বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে, গ্রামের তুলনায় শহরেই মাদকের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা বেশি। এ প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য যে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী এলাকায় এ হার অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। সামাজিক শ্রেণী ভেদেও মাদকাসক্তের বিচিত্রতা লক্ষণীয়। সমাজের দরিদ্র ও নিম্ন শ্রেণীর মানুষের একটা নির্দিষ্ট অংশ মাদকের প্রতি আসক্ত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে মাদকাসক্তের উপর পরিচালিত অনেক গবেষণায় পরিলক্ষিত হয়েছে যে, মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত পরিবারের তরুণ-যুবক সমাজই অধিক হারে নেশা প্রবণ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য

*        ইনজেক্টেড ড্রাক-মরফিন, পেথেডিন টিডিজেসিক ইঞ্জেকশন, অন্যান্য- ভাং, চরস, বিভিন্ন ঘুমের বড়ি, মদ।

**      এ পরিসংখ্যান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঈগঝ (ঈষরবহঃ গড়হরঃড়ৎরহম ঝুংঃবস) ডাটারেস হতে সংগৃহীত। কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, তেজগাঁও, ঢাকাসহ দেশের অন্য ৩টি বিভাগীয় শহর (চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী) সরকারি নিরাময় কেন্দ্রসমূহে মাদকাসক্ত রোগীদেরও চিকিৎসা প্রদান সংক্রান্ত উপাত্ত ও ডাটাবেসে সংগৃহীত হয়ে থাকে।

0 comments:

Post a Comment