Sunday, March 13, 2016

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ কে কি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা হয়?


প্রথম অধ্যায়

১.১ ভূমিকাঃ

 প্রকৃতপক্ষে সিপাহী বেদ্রোহের পূর্বেও বেশ কয়েকবার ভারতে স্বাধীনতা সূচনা হয়েছে বাংলাকোট ১৮৩১ সালে মে মাসের এবং বাংলায় ১৯ শে নভেম্বর ১৮৩১ সালে তিতুমীরের নেতৃত্বে নারিকেল বাড়িয়ায়যে স্বাধীনতার লড়াই হয়েছেল তা আসলে ভারতে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম পর্যায়। তার দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে মীর বলোয়েত আলী ও মীর এনায়েত আলীর নেতৃত্বে ১৮৫২ সালের সিওনার বিদ্রোহ। তৃতীয় ও সর্ব বৃহৎ পর্যায় হচ্ছে সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭)।


১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে লর্ড ক্যানিং ভারতের জেনারেল পদে নিযুক্ত হয়ে আসেন। তাঁর শাসনকালের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ঘোটনা হল ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোজ। এ ঘটনার সানমকরন নিয়ে সম্পকর্ েঐতিহাসিক মহলে মতভেদ রয়েছে। এটি সরকারি বিবরণে ‘সিপাহী বিদ্রোহ’ বলে পরিচিত। পক্ষান্তরে ভারতীয় ঐতিহাসিক একদল একে জাতীয় সংগ্রাম বলে অভিহিত করেছেন। এবং অপর দল একে সিপাহী বিদ্রোহ ও ১৮৫৭ সালে বিপ্লব বলে অভিহিত করেছেন। এরুপ মত পার্থক্য থাকার কারণে ১৮৫৭ সালের সংঘটিত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে এ গ্রন্থে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ’ নামে নামকরণ করা হল।




১৮৫৭ সালে উত্তর ও মধ্য ভারতে যে বিরাট গন-বিদ্রোহ সংঘটিত হয় তা ব্রিটিশ শানকে প্রায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কোম্পানির সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়ে তা ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক বছর ধরে অগণিত কৃষক, শিল্পী, সৈন্য ও অন্যান্য জনগোষ্ঠী বীরত্বের সাথে সংগ্রাম চালিয়ে যায়। তাদের সাহসিকতা ও আত্মবিসর্জন ভারতবাসীর ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।


এ মহাবিদ্রোহ শুধু যে ভারতীয় সেনাদের অসন্তুষ্টি ও বিক্ষোভ হতেই উদ্ভুত হয়েছিল এমন নয়। প্রকৃতপক্ষে এর মূলে ছিল কোম্পানীর প্রশাসন ও বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোপ ও অসন্তোষ। ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর মধ্যে এ বিক্ষোভ দানা  বের্ধে উঠেছিল এবং এ বিক্ষোভ হতেই মহাবিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে।



১.২ টার্ম পেপার রচনার উদ্দেশ্যঃ

                   সমস্যা সমাধানের পন্থা উদ্ভাবন এর সহজাতি অনুসন্ধান প্রবণ তাই গবেষণার মূল চালিকা শক্তি যার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য সার্বিক মানব কল্যান সাধনে সহায়তা করে। বলা হয় সম্পূর্ণ অজানাকে নয়, বরং যা সম্পর্কে অল্প বা অস্পষ্ট ধারণা আছে প্রয়োজনের তাগিদে তাকে গভীর ভাবে জানা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে অজর্ন করাই গবেষণা।

প্রতিটি গবেষণার কিছু উদ্দেশ্য থাকে-

া সিপাহী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে।

া সিপাহী বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী গ্রুপ ও অঞ্চল সম্পর্কে জানতে।

া সিপাহী বিদ্রোহের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানতে।

া এ মহাবিদ্রোহের ফলাফল সম্পর্কে জানতে।




কর্যকরী সংজ্ঞাঃ

ভারতবর্ষের কোম্পানী শাসনের অবসানের অন্যতম কারণ ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিল্পব। এই বিপ্লবের এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো সিপাহিদের সাথে সাধারণ জনগণের বিদ্রোহ। জেনারেল সার্ভিস  এনলিস্টমেন্ট  এ্যাক্ট এবং এনফিল্ড রাইফেল প্রবর্তন সিপাহী বিপ্লবের তাৎক্ষণিক কারন হলেও এ বিপ্লবের পেছনে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ভারতবাসীর দীর্ঘ অসন্তোষই ছিল মূল কারণ। এ কারণে বাংলায় এ বিপ্লব শুরু হলেও তা সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। মূলত সিপাহী বিপ্লবের মধ্য দিয়েই দিল্লীর শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাযারকে সিংহাসন চ্যুত করার মধ্যদিয়ে মোগল শাসনের শেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলা হয়।

       

                   কৃষক ও শিল্পীরা দলে দলে যোগদান করে সিপাহীদের বিদ্রোহকে গণ-বিদ্রোহকে গণ- বিদ্রোহের রুপ দেয়। যা ১৮৫৭ সালে ১০মে মিরাট শহরে শুরু হওয়া সিপাহিদের একটি বিদ্রোহ।



গবেষণার পরিধিঃ

সিপাহী বিদ্রোহ একটি বিস্তৃত ধারণ ১৮৫৭ সালের ১০ মে মিরাট শহরে শুরু হওয়া ইংরেজ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সিপাহীদের সাথে যে যুদ্ধে সংঘঠিত হয় তাই সিপাহী বিদ্রোহ। এ যুদ্ধের মাধ্যমে সিপাহীদের পতন ঘটে এবং স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। উত্তর ও মধ্যবারতে যে বিরাট গণ-বিদ্রোহ সংঘটিত হয় তাহা ব্রিটিশ শাসনকে প্রায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কোম্পানীর সেনাবাহীনির মধ্যে এ বিদ্রোহ শুরু হয়ে তা ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিব্যাপ্ত হয়। প্রায় ১০০ বছর ধরে অগণিত কৃষক, শিল্পী, সেনা ও অন্যান্য জনগোষ্ঠী বীরত্বের সাথে সংগ্রাম চালিয়ে যায়। সিপাহী বিদ্রোহ একদিনে জন্ম নেয়নি বরং এটি ছিল বহুদিনের তিলে তিলে সঞ্চিত প্রস্তুতির ফল।


গবেষণার পদ্ধতি ঃ

আলোচ্য টার্ম পেপার মূলত মাধ্যমিক উৎস থেকে সংগৃহীত উপাত্তের উপর নির্ভর করা হয়েছে।  এ উদ্দেশ্য বিভিন্ন বই পত্র পত্রিকায় ্প্রকাশিত নিবন্ধন, জার্নাল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী প্রভৃতির সাহায্য গ্রহণ করা হয়েছে।


গবেষানার সীমাবদ্ধতা ঃ

 টার্ম পেপারের আলোচ্য বিষয় অত্যন্ত ব্যাপক কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে প্রাথমিক উৎস থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এই সংক্রান্ত প্রচুর বই পত্র থাকলেও সেগুলোর অধিকাংশের মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় তা সংগ্রহ করা হয় নি।



দ্বিতীয় অধ্যায়

পটভূমিঃ

সিপাহী যুদ্ধের পটভূমি মানেই এই উপমহাদেশে ইংরেজ শাসক এবং শোষনের ইতিহাস। তাই সিপাহী যুদ্ধের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই তৎকালীন ইংরেজ শাসকদের কর্মতৎপরতা আলোচনায় এসে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে ইতিহাসে সিপাহী বিদ্রোহ এক যুগান্তরকারী অধ্যায়ের সূচনা করে। ভাঙ্গ গড়ার ইতিহাসে পৃথিবীর বিভিন্ন মহলের মধ্যে উত্থান পতনের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীতে সবকিছু সামাজিক ভাবে পরিবর্তনশীল। তেমনি পরিবর্তন দেখা যায় ভারতে ইতিহাসে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোদের মাধ্যমে। ব্রিটিশ শাসনকে চিরতরে উচ্ছেদ করার প্রথম  এবং প্রধান বীজ হিসেবে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহকে গুরুত্বের সাথে ইতিহাসের পাতায় লিপিব্ধ করা হয়। ভারতীয় জনসাধারনের মুক্তির প্রথম আলোক বর্তীকা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ।

লর্ড ডালহৌসির স্বত্ববিলোপনীতি ফলে ভারতে মহাবিদ্রোহের সুচনার সুত্রপাত ঘটে এ কথাও অনসীকার্য নহে। তিনি সাতারা, সম্বলপুর নাগপুর, ঝাঁসি বিভিন্ন এলাকা অধিকার ও নানা সাহেবের ভাতা বন্ধ করেন। এছাড়া তিনি তাঞ্জোর ও কর্ণাটের বাজপরিবারের ভাতা বন্ধ করে দেন। কুশাসনের অজুহাতে অযোধ্যা অধিকার করেন যা ভারতীয়দের মনে এক অসন্তোসের সৃষ্টি করে।

বৃটিশ শাসন অধিষ্ঠিত হবার পর অযোধ্যা বহুপরিবার দুর্দশাগ্রস্থ হয়ে পরে। অলংকারপত্র এবং অপরাপর সামগ্রী বিক্রয় করে তাদের দিন যাপন করতে হয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার শেষ পর্যন্ত এ সকল পরিবারের ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন বটে, কিন্তু এটা কার্যকরি হওয়ার পূর্বেই অনেক পরিবারের মহিলাদেরও রাত্রিতে অপরের কাছে খাদ্যদ্রব্য ভিক্ষা করতে হয়েছিল।


নাগপুরের রাজপ্রাসাদ ও অযোধ্যার নবাবের প্রাসাদ লুণ্ঠন করা একটি নিকৃষ্ট কাজ ছিল ডালহৌসির। এরুপ দারুন ক্ষোভ ও প্রতিহিংসা প্রকাশ পায়। তিনি বলপূর্বক নাগুর গরু, ঘোড়া, হাতি, মনি-মুক্তা ও আসবাবপত্র নিয়ে গিয়ে নামমাত্র মুল্যে বিক্রয় করে ব্রিটিশ স্বার্থপরতার হীন প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়।  অযোধ্যার প্রসাদ হতে নবাবের কন্যাদের বের করে দিয়ে কোষাগার লুট করে সমগ্র ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবের জন্ম দেয়।

ব্রিটিশ শাসকদের ভারতীয়দের প্রতি ঘৃণা এবং ভারতীয়দের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার মনোবৃত্তি ও ভারতবাসীর কাছে প্রকট হয়ে উঠেছিল। ‘সিয়ার উল মুতখেরিন’ গ্রন্থে বৃটিশ কর্মচারিদের ভারতীয়দের এ ধরণের মনোভাবের প্রমাণ পাওয়া যায়। ওয়ারেন হোস্টিংসও একথা তাঁর একপত্রে উল্লেখ করেন।

লেফটেন্যান্ট ভার্ণে এর রচনায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, “ব্রিটিশ কর্মচারীদের সাথে ভারতীয়দের কোনপ্রকার মেলামেশা ছিল না। যদি কোন কোন কারণে কোন ভারত বাসীকে ব্রিটিশ কর্মচারির কাছে আসতে হয়, তাহলে সে সাক্ষাতের পর ব্রিটিশ কর্মচারির প্রতি তার ঘৃণা বৃদ্ধি পেত।


ব্রিটিশ কর্মচারিদের একচাটিয়া শাসন ব্যবস্থার ফলে ভারতীয় সৈনিকরা বিক্ষিপ্ত হয়ে পরেন। ব্রিটিশদের বৈষম্যমূলক আচরণ ভারতীয় সেপাইদের মনে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে দেয়।

সাধারণ  একজন সিপাহির মাসিক বেতন ৯০০ টাকা। অশ্বরোহী সৈনিকদের অবস্থা কোন অংশে উন্নত ছিল না। তাদের বেতন ছিল অধিক কিন্তু তাদের বেতন থেকে বিভিন্ন খাতে কেটে রাখা হত । মোট ৩ লক্ষ্য ১৫ হাজার ৫২০ জন সিপাহি এবং দেশীয় অফিসারের জন্য ৯৮ লক্ষ্য পাউন্ড ব্যয় করা হতো পক্ষান্তরে মাত্র ৫১ হাজার ৩১৬ জন ইউরোপীয় অফিসার ও সৈনিকদের পেছনে মোট ৫৬ হাজার পাউন্ড ব্যয়িত হতো। ব্রিটিশদের এমন বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে সেপাইরা বিদ্রোহী হয়ে পরে।




মঙ্গল পান্ডের পরিচয়ঃ

                   মঙ্গর পান্ডের জন্ম ১৮৫৭ সালের ১৯জুলাই । উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলায় নাগওয়া গ্রামে। অনেকের মতে তাঁ জন্ম হয়েছিল ফেজাবাদ জেলার সুরহুর গ্রামে। একটি ব্রাক্ষ্মন পরিবারে। দিবাকর পান্ডে ঘরে। অর্থাৎ তাঁর বাবা ছিলেন দিবাকর পান্ডে। পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশুনা শেষ করে মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৮৪৯ সালে তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে সোই পদে চাকুরী নেন।

          এখানে চাকরি করতে এসে তিনি অনেক রকম বৈষম্য আর অন্যায় দেখতে পান, যা মঙ্গল পান্ডেকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা ইতিহাসের নক্ষত্র হল মঙ্গল মান্ড।

  

যুদ্ধের সময় এবং বিভিন্ন ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয়

১। সময়                            ঃ প্রায় ১ বছর

২। অংশগ্রহনকারী এৎড়ঁঢ়      : সিপাহী, কৃষক, শিল্পী, অন্যান্য জনগোষ্ঠী।

৩। অংশগ্রহনকারী অঞ্চল          ঃ ব্যারাকপুর, সাতারা, নাগপুর, ঝাসি, লক্ষ্মৌ, সিংহভূমের বোলারী, পাঞ্জাব, অযোধ্যা, কানপুর, চট্টগ্রাম, ঢাকা, মানভূমের ভূমজী, উড়িষ্যার খন্ড, রাজমহলের সাওতাল প্রভৃতি আদিম জাতি।

৪। সিপাহী বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য চরিত্র ঃ

                                      ১। কানপুরের নানা সাহেব।

                                      ২। ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মৗ বাঈ।

                                      ৩। বিহারের জগদীশ পুরের কুনওয়ায় ও অমর সিং ।

                                      ৪। তাঁতিয়া তোপী।

                                      ৫। ব্যারাকপুরের মঙ্গল পান্ডে প্রমুখ।

 

চতুর্থ অধ্যায়

সিপাহী বিদ্রোহের কারণঃ

সিপাহী বিদ্রোহের কারণকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে উপস্থাপন করা হলঃ







নিম্নে সিপাহী বিদ্রোহের কারণ উল্লিখিত ছঠক অনুযায়ী আলোচনা করা হল:


তাৎক্ষনি কারণ ঃ

জেনারেল সার্ভিস এনলিস্টমেন্ড এ্যাকটঃ ১৮৫৬ সালে লর্ড ক্যানিং জেনারেল সার্ভিস এনলিস্টমেন্ট এ্যাকট করেন। এ আইনে সিপাহীদের জন্য আদেশমত সমুদ্র যাত্রা বাধ্যতামূরক করা  হয়। এর ফরে ভারতীয় সৈন্যদের অসন্তোষ মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। যা সিপাহী বিপ্লবের তাৎক্ষনিক কারণ হিসেবে মদদ যুগিয়েছিলেন।


এনফিল্ড রাইফেল প্রবর্তন ঃ

 এনফিল্ড রাইফেলের টোটা ভরার পূর্বে এর একাংশ দাঁত দিয়ে কেটে নিতে হত। ১৫৭সালের জানুয়ারী মাসে সিপাহীদের মধ্যে গুজব রটে যে, এ টোটায় শুকর এবঙ গুরুর চর্বি মিশ্রি আছে এবং হিন্দু ও  মুসলমান উভয় সম্পদ্রায়ের জাত নষ্ট করার জন্য এই টোটা দেয়া হয়েছে। এ সংবাদ দ্রুত বিভিন্ন ব্যারাকে ছড়িয়ে পড়ল ১৮৫৭ সালের ২১সালের মার্চ ব্যারাকপুরে মন্ডল নাক একজন সৈন্য বিদ্রোহ করে মূলত মন্ডল পান্ডের এই বিদ্রোহই সিপাহী বিপ্লবের প্রকৃত তাৎক্ষনিক কারণ।


সম্পূর্ণটি পেতে-০১৭৩৭৭৩১০৮৫


0 comments:

Post a Comment