cÖ_g Aa¨vq
1.1 f~wgKv t
পলাশির
যুদ্ধ ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত। এবং পলাশির যুদ্ধে
অনৈতিহাসিক বৃত্তান্ত। কেন না ইহার
প্রকৃত ইতিহাস লিখিত হয়
নাই। সুতরাং কাব্যকারের ইহাতে
বিশেষ অধিকার। এই জন্যই বোধ
হয়, মেকলে ক্লাইবের জীবনচরিত
নামক উপন্যাস লিখিয়াছেন।# যাহা হউক মেকলের
সঙ্গে আমাদের এক্ষণে কার্য
নাই; নবীন বাবুর গ্রন্থের
কথা বলি।—
মেঘনাদবধ,
বা বৃত্রসংহারের সহিত এই কাব্যের
তুলনা করিতে চেষ্টা পাইলে,
কবির প্রতি অবিচার করা
হয়। ঐ কাব্যদ্বয়ের ঘটনা
সকল কাল্পনিক, অতি প্রাচীন কালে
ঘটিয়াছিল বলিয়া কল্পিত এবং
সুরাসুর রাক্ষস, বা অমানুষিক শক্তিধর
মনুষ্যগণ কর্তৃক সম্পাদিত; সুতরাং
কবি সে ক্ষেত্রে যথেচ্ছক্রমে
বিচরণ করিয়া, আপনার অভিলাষ
মত সৃষ্টি করিতে পারেন।
পলাশির যুদ্ধে ঘটনা ঐতিহাসিক,
আধুনিক; এবং আমাদিগের মত
সামান্য মনুষ্যকর্তৃক সম্পাদিত। সুতরাং কবি এস্থলে,
শৃঙ্খলাবদ্ধ পক্ষীর ন্যায় পৃথিবীতে
বদ্ধ, আকাশে উঠিয়া গান
করিতে পারেন না। অতএব
কাব্যের বিষয়-নির্বাচন সম্বন্ধে
নবীন বাবুকে সৌভাগ্যশালী বলিতে
পারি না।
তবে,
এই কাব্যমধ্যে ঘটনাবৈচিত্র্য, সৃষ্টিবৈচিত্র্য, সঙ্ঘটন করা কবির
সাধ্য বটে। তৎসম্বন্ধে নবীন
বাবু তাদৃশ্য শক্তিপ্রকাশ করেন না। বৃত্রসংহারের
একটি বিশেষ গুণ এই
যে, সেই একখানি কাব্যে
উৎকৃষ্ট উপাখ্যান আছে, এবং গীতিকাব্য
আছে। পলাশীর যুদ্ধে, উপাখ্যান
এবং নাটকের ভাগ অতি
অল্প—গীতি অতি প্রবল।
নবীন বাবু বর্ণনা এবং
গীতিতে এক প্রকার মন্ত্রসিদ্ধ।
সেই জন্য পলাশীর যুদ্ধ
এত মনোহর হইয়াছে।
1.2 cjvkx hy‡×i cUfzwgt
১৭৫৭ খৃস্টাব্দের ১২ জুন কলকাতার ইংরেজ সৈন্যরা চন্দননগরের
সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়।
সেখানে দুর্গ রক্ষার জন্য
অল্প কছু সৈন্য রেখে
তারা ১৩ জুন অবশিষ্ট
সৈন্য নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করে।
কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের পথে
হুগলি,
কাটোয়ার
দুর্গ, অগ্রদ্বীপ
ও পলাশীতে
নবাবের সৈন্য থাকা সত্ত্বেও
তারা কেউ ইংরেজদের পথ
রোধ করল না। নবাব
বুঝতে পারলেন, সেনাপতিরাও এই ষড়যন্ত্রে শামিল।
বিদ্রোহের
আভাস পেয়ে সিরাজ মিরজাফরকে
বন্দি করার চিন্তা বাদ
দিলেন। তিনি মিরজাফরকে ক্ষমা
করে তাকে শপথ নিতে
বললেন। মিরজাফর পবিত্র কুরআন স্পর্শ
করে অঙ্গীকার করলেন যে, তিনি
শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকতেও বাংলার
স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন হতে দেবেন না।
গৃহবিবাদের মীমাংসা করে তিনি রায়দুর্লভ,
ইয়ার লতিফ, মিরজাফর, মিরমদন,
মোহনলাল ও ফরাসি সেনাপতি
সিনফ্রেঁকে সৈন্য চালানোর দায়িত্ব
দিয়ে তাদের সঙ্গে যুদ্ধযাত্রা
শুরু করলেন।
২৩
জুন সকাল থেকেই পলাশীর
প্রান্তরে ইংরেজরা মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার
জন্য প্রস্তুত হলো। ইংরেজরা 'লক্ষবাগ'
নামক আমবাগানে সৈন্য সমাবেশ করল।
বেলা আটটার সময় হঠাৎ
করেই মিরমদন ইংরেজবাহিনীকে আক্রমণ
করেন। তাঁর প্রবল আক্রমণে
টিকতে না পেরে ক্লাইভ
তার সেনাবাহিনী নিয়ে আমবাগানে আশ্রয়
নেন। ক্লাইভ কিছুটা বিচলিত
হয়ে পড়েন। মিরমদন ধীরে
ধীরে অগ্রসর হচ্ছিলেন। কিন্তু
মিরজাফর, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ
যেখানে সৈন্যসমাবেশ করেছিলেন সেখানেই নিস্পৃহভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তাদের সামান্য সহায়তা
পেলেও হয়ত মিরমদন ইংরেজদের
পরাজয় বরণ করতে বাধ্য
করতে পারতেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি
নামলে সিরাজদ্দৌলার গোলা বারুদ ভিজে
যায়। তবুও সাহসী মিরমদন
ইংরেজদের সাথে লড়াই চালিয়ে
যেতে লাগলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই
গোলার আঘাতে মিরমদন মৃত্যুবরণ
করেন।
কিন্তু
মিরজাফর আবারো বিশ্বাসঘাতকতা করে
তার সৈন্যবাহিনীকে শিবিরে ফেরার নির্দেশ
দেন। এই সুযোগ নিয়ে
ইংরেজরা নবাবকে আক্রমণ করে।
যুদ্ধ বিকেল পাঁচটায় শেষ
হয় এবং নবাবের ছাউনি
ইংরেজদের অধিকারে আসে। ইংরেজদের পক্ষে
সাতজন ইউরোপিয়ান এবং ১৬ জন
দেশীয় সৈন্য নিহত হয়।তখন
কোন উপায় না দেখে
সিরাজদ্দৌলা রাজধানী রক্ষা করার জন্য
দুই হাজার সৈন্য নিয়ে
মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
কিন্তু রাজধানী রক্ষা করার জন্যেও
কেউ তাঁকে সাহায্য করেনি।
সিরাজদ্দৌলা তাঁর সহধর্মিণী লুৎফুন্নেসা
ও ভৃত্য গোলাম হোসেনকে
নিয়ে রাজধানী থেকে বের হয়ে
স্থলপথে ভগবানগোলায় পৌঁছে যান এবং
সেখান থেকে নৌকাযোগে পদ্মা ও মহানন্দার
মধ্য দিয়ে উত্তর দিক
অভিমুখে যাত্রা করেন। তাঁর
আশা ছিল পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে
পারলে ফরাসি সৈনিক মসিয়ে
নাস-এর সহায়তায় পাটনা পর্যন্ত গিয়ে রামনারায়ণের কাছ
থেকে সৈন্য সংগ্রহ করে
ফরাসি বাহিনীর সহায়তায় বাংলাকে রক্ষা করবেন।
m¤ú~Y©wU †c‡Z GLv‡b wK¬K Kiæb
0 comments:
Post a Comment