১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইনঃ প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া
প্রথম অধ্যায়
১.১ ভুমিকাঃ
১৯৪৭ সালের ‘ভারত স্বাধীনতা আইন’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এ আইন ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ও শাষনতান্ত্রিক সমস্যা সমাধানের পথে সর্বাপেক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ ও সব্র্শেষ পদক্ষেপ। এ আইন দ্বারা সুদীর্ঘ প্রায় দুইশত বছরের ব্রিটিশ শাষনের অবসান এবং দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। তাই ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইনের গুরুত্ব অত্যাধিক। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ উভয়ই মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বাংলা ও পাঞ্জাব বিভক্তির প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুসলমান সংখ্যাাগরিষ্ঠ পশ্চিম পাঞ্জাব ও পূর্ব বাংলা পাকিস্তানে যোগদানের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে; অপরপক্ষে পূর্বে পাঞ্জাব ও পশ্চিম বাংলা ভারতে যোগদানের অনুকূলে মত ব্যক্ত করে। আমাসের সিলেট জেলা পূর্ববাংলার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার অনুকূলে ভোট দেয়। সিন্ধু প্রদেশের আইনসভা পাকিস্তানের যোগদানের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদশ ও বেলুচিস্তানের জনগন গণভোটে পাকিস্তানে যোগদানের অনুকূলে ভোট দেয়।মাউন্টব্রাটেন পরিকল্পনা অনুসারে ভারত বিভাগ ও শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ‘ভারতীয় স্বাধীনতা আইন’ পাশ হয়। এই আইন পাসের উদ্দেশ্যে ছির লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ৩ জুনের পরিকল্পনাকে কার্যকরী করা।
১.২ ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ উভয়ই মাউন্টব্যাটেনের পরিক্ল্পনা গ্রহণ করে। বাংলা ও পাঞ্জাব বিভক্তির প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুসলমান সংখ্যাাগরিষ্ঠ পশ্চিম পাঞ্জাব ও পূর্ব বাংলা পাকিস্তানে যোগদানের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত কওে; অপরপক্ষে পূর্বে পাঞ্জাব ও পশ্চিম বাংলা ভারতে যোগদানের অনুকূলে মত ব্যক্ত করে। আমাসের সিলেট জেলা পূর্ববাংলার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার অনুকূলে ভোট দেয়। সিন্ধু প্রদেশের আইনসভা পাকিস্তানের যোগদানের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদশ ও বেলুচিস্তানের জনগন গণভোটে পাকিস্তানে যোগদানের অনুক’লে ভোট দেয়।মাউন্টব্রাটেন পরিকল্পনা অনুসাওে ভারত বিভাগ ও শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ‘ভারতীয় স্বাধীনতা আইন’ (ঞযব ওহফরধহ ওহফবঢ়বহফবহপব অপঃ. ১৯৪৭) পাশ হয়। এই আইন পাসের উদ্দেশ্যে ছির লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ৩ জুনের পরিকল্পনাকে কার্যকরী করা। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন দ্বারা প্রাদেশীক স্বায়ত্তশাসন চালু করা হয় অর্থাৎ প্রদেশের আইন প্রণয়ন, শাসন, বিচার প্রভৃতি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাদেশীক সরকার কেন্দ্রিয় সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করবে। এটি কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে ঘটে। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে অনুষ্ঠিত ভারত বর্ষের মুসলিম লীগের সংখ্যা গরিষ্ঠতা অঞ্চল নিয়ে মুসলমানদের পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা সংবলিত বাংলার মূখ্য মন্ত্রী এ কে ফজলুল হক যে প্রস্তাব পেশ করেন তা লাহোর প্রস্তাব নামে খ্যাত। লাহোর প্রস্তাবটির ভিত্তি ছিল দ্বিজাতি তত্ত্ব এবং এ দ্বিজাতি তত্ত্বই পাকিস্তান ও ভারতের জন্ম দেয়।
১.৩ গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
কোন বিষয় আলোচনা করার পূর্বে আমাদেরকে জানতে হবে যে, সে বিষয়টি কি উদ্দেশ্যে এবং কোন্ লক্ষ্যে আলোচনা করা হবে। তাই কোন বিষয়ের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ণয় করা আবশ্যক। ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইনের ফলে ভারতে যে প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেটিই হলো এ বিষয়ে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ১৭৫৭ সালে মহাভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশদের হাতে চলে যায় তখন ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে শাসন, শোষণ ও নির্যাতন করে। এসব শাসন, শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ভারতবাসী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে তোলে। এসব আন্দেলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯০৯ সালের মর্লি-মিল্টো সংস্কার আইন, ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন এবং ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। অবশেষে ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইন দ্বারা ব্রিটিশদের শাসন উচ্ছেদ করা হয় এবং মহাভারতবর্ষ ভেঙ্গে “ভারত” ও “পাকিস্তান” নামে নতুন দুটি রাষ্ট্র তৈরি হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইনের ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। তাই কোন্ উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইন গৃহীত হয়েছে তা এই বিষয়ে লক্ষ্য করতে হবে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আমি নি¤œলিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহকে দায়ী করতে পারি।
১৯৪৭ সালের ভারত শাসন আইনের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান অর্জন সম্ভব হবে।
সম্পর্কে সকল অসত্য ধারণা দূর করে নিজে গবেষণা করে সত্য ঘটনাকে জানার আগ্রহ।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নতুন পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করা।
১৯৪৭ সম্পর্কে গবেষণা ব্যক্তি স্বার্থে নয় বরং জনস্বার্থে পরিচালিত ও ব্যবহৃত হবে।
১.৪ বিষয়বস্তুর বর্ণনা:
১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী লর্ড এটলি ঘোষনা করেন ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা প্রত্যর্পন করবেন। লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ভারতের নতুন গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হলেন, তিনি দেখলেন ভারতবর্ষ সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত পরিবেশের কবলে পতিত। তাই মাউন্ট ব্যাটেন ব্রিটিশ সরকারের সাথে পরামর্শ করে ১৯৪৭ সালের ৩ জুন এক গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। তাই হলো বিখ্যাত ‘তিন জুন পরিকল্পনা’।১৯৪৭ সালের ৩ জুনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য মাউন্ট ব্যাটেন ১৯৪৭ সালের ১৮ লন্ডনে যান এবং ৩১ ভারতে প্রত্যার্পন করেন। এরপর কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ সে পরিকল্পনা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি জানাবার পর ৪ জুন এক সাংবাদিক সম্মেলণে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাষ্ট ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা তিনি ঘোষণা করেন। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ তার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানায়।
লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ৩ জুনের পরিকল্পনাকে বিধিবদ্ধ আইনের রূপ দেওয়ার জন্য ১৯৪৭ সালের ৪ জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এক বিল উত্থাপন করেন। এ বিল ব্রিটিশ ভারতে ‘ভারত ও পাকিস্তান’ নামে দুটি স্বধীন রাষ্ট্র স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়। সিন্ধু প্রদেশ, সিমান্ত প্রদেশ, বেলুচিস্থান, পাঞ্জাব ও পূর্ব বাংলা নিয়ে ‘পাকিস্তান’ এবং ভারতের অন্যান্য প্রদেশ নিয়ে ‘ভারত’ রাষ্ট্র গঠনের ব্যবস্থা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই বিলটি পার্লামেন্টে গৃহিত হয়ে আইনে পরিণত হয়। এটি ১৯৪৭ সালের ‘ভারত স্বাধীনতা আইন’ (ঞযব ওহফরধহ ওহফবঢ়বহফবহপব অপঃ ড়ভ ১৯৪৭) নামে পরিচিত।
দ্বিতীয় অধ্যায়
২.১ ধারণাগত বিশ্লেষণঃ
১৯৪৭ সালের ভারত শাসন আইনের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া একটি ঐতিহাসিক ঘটনা সম্বলিত ধারণাগত বিষয়। আর প্রত্যয় হচ্ছে এমন একটি বিষয় যা ভাষায় নতুন শব্দ গঠন করতে সাহায্য করে।
প্রত্যয় একটি বিমূর্ত বিষয় তাই ১৯৪৭ সালের ভারত শাষন আইনের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া প্রত্যয়গত ভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করণ সম্ভব নয়। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হওয়ায় এই সম্বন্ধে তেমন কোন ধারণা গত বা প্রত্যয়গত বিশ্লেষণ বা তথ্য সংগ্রহ করার কোন অবকাস রাখেনা।
সুতরাং বলা যায় যে, এই বিষয়টিকে প্রত্যয়গত ভাবে বিশ্লেষণ না করে ঐতিহাসিক ধারণা করা যায়।
সীমানা কমিশন গঠনঃ
প্রাথমিক চিন্তায় বাংলা ও পাঞ্জাবের জন্য দুটি ভিন্ন কমিশন গঠনের এবং প্রতি কমিশনে মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস ক থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি অন্তর্ভভুক্ত করার বিষয় বিবেচিত হয়। কিন্তু সীমানা চিহ্নিতকরণ বিষয়টি ছিল অত্যন্তকরণ বিষয়টি ছিল অত্যন্ত জটিল। মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিবর্গ সীমানা নির্ধারণে স্ব-স্ব সম্প্রদায়ের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবেন এটাই স্বাভাবিক ছিল। এমাতাবস্থায় লর্ড মাউন্টব্যাটেন উভয় দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে উভয়ের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ৮ জুন ১৯৪৭ তারিখে জিন্নাহ এবং অন্যান্য মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। জিন্নাহ বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশের সীমানা কমিশনের প্রতিটিতে প্রিভি কাউন্সিলের বিচারবিভাগীয় কমেটির তিনজন সদস্য অন্তর্ভক্ত করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তাঁরা বৃদ্ধ বয়সে ভারতবর্ষের গরম সহ্য করতে পারবেন না- এই অজুহাতে মাউন্টব্যাটেন উক্ত প্রস্তাব নাকচ করলে জিন্নাহ বিকল্প প্রন্তাব হিসেবে জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রতি কমিশনে তিনজন করে অভারতীয় বিশেষজ্ঞকে নিয়োগের সুপারিশ করেন। কিন্তু এই পদ্ধতিতে কমিশন গঠন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং যেহেতু ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ এর পূর্বেই সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ সমাপ্ত করতে হবে তাই জিন্নাহর দ্বিতীয় প্রস্তাবও নাকচ করা হয়।
১০ জুন ১৯৪৭ তারিখে লর্ড মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ বৈঠকে জিন্নাহর দ্বিতীয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় এবং সময়ের স্বল্পতার কতা বিবেচনা করে তা নাকচ করা হয়।
১০ জুন ১৯৪৭ তারিখে লর্ড মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ বৈঠকে জিন্নাহর দ্বিতীয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় এবং সময়ের স্বল্পতার কথা বিবেচনা করে তা নাকচ হয়। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ প্রস্তাব করেন যে, প্রতি কমিশেনে ২ জন কংগ্রেসের প্রতিনিধি এবং উভয় কমিশনের জন্য একজন নিরপেক্ষ চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হোক। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নিরপেক্ষ চেয়ারম্যানের নাম প্রস্তাব করবে। কমিশনের সদস্যবৃন্দ হবেন বিচারবিভাগীয়।
পূর্ণ টার্ম পেপারটি পেতে-০১৭৩৭৭৩১০৮৫
প্রত্যয় একটি বিমূর্ত বিষয় তাই ১৯৪৭ সালের ভারত শাষন আইনের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া প্রত্যয়গত ভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করণ সম্ভব নয়। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হওয়ায় এই সম্বন্ধে তেমন কোন ধারণা গত বা প্রত্যয়গত বিশ্লেষণ বা তথ্য সংগ্রহ করার কোন অবকাস রাখেনা।
সুতরাং বলা যায় যে, এই বিষয়টিকে প্রত্যয়গত ভাবে বিশ্লেষণ না করে ঐতিহাসিক ধারণা করা যায়।
২.২ সীমানা চিহ্নিতকরণঃ
লর্ড মাউন্টব্যাটেনে পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা বিভক্তির সিদ্ধান্ত গৃতীত হলে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মধ্যকার সঠিক সীমানা নির্ধারণ করার জন্য একটি সীমানা কমিশণ গঠন অপরিহার্য হয়ে পড়ে।সীমানা কমিশন গঠনঃ
প্রাথমিক চিন্তায় বাংলা ও পাঞ্জাবের জন্য দুটি ভিন্ন কমিশন গঠনের এবং প্রতি কমিশনে মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস ক থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি অন্তর্ভভুক্ত করার বিষয় বিবেচিত হয়। কিন্তু সীমানা চিহ্নিতকরণ বিষয়টি ছিল অত্যন্তকরণ বিষয়টি ছিল অত্যন্ত জটিল। মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিবর্গ সীমানা নির্ধারণে স্ব-স্ব সম্প্রদায়ের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবেন এটাই স্বাভাবিক ছিল। এমাতাবস্থায় লর্ড মাউন্টব্যাটেন উভয় দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে উভয়ের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ৮ জুন ১৯৪৭ তারিখে জিন্নাহ এবং অন্যান্য মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। জিন্নাহ বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশের সীমানা কমিশনের প্রতিটিতে প্রিভি কাউন্সিলের বিচারবিভাগীয় কমেটির তিনজন সদস্য অন্তর্ভক্ত করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তাঁরা বৃদ্ধ বয়সে ভারতবর্ষের গরম সহ্য করতে পারবেন না- এই অজুহাতে মাউন্টব্যাটেন উক্ত প্রস্তাব নাকচ করলে জিন্নাহ বিকল্প প্রন্তাব হিসেবে জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রতি কমিশনে তিনজন করে অভারতীয় বিশেষজ্ঞকে নিয়োগের সুপারিশ করেন। কিন্তু এই পদ্ধতিতে কমিশন গঠন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং যেহেতু ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ এর পূর্বেই সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ সমাপ্ত করতে হবে তাই জিন্নাহর দ্বিতীয় প্রস্তাবও নাকচ করা হয়।
১০ জুন ১৯৪৭ তারিখে লর্ড মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ বৈঠকে জিন্নাহর দ্বিতীয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় এবং সময়ের স্বল্পতার কতা বিবেচনা করে তা নাকচ করা হয়।
১০ জুন ১৯৪৭ তারিখে লর্ড মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ বৈঠকে জিন্নাহর দ্বিতীয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় এবং সময়ের স্বল্পতার কথা বিবেচনা করে তা নাকচ হয়। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ প্রস্তাব করেন যে, প্রতি কমিশেনে ২ জন কংগ্রেসের প্রতিনিধি এবং উভয় কমিশনের জন্য একজন নিরপেক্ষ চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হোক। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নিরপেক্ষ চেয়ারম্যানের নাম প্রস্তাব করবে। কমিশনের সদস্যবৃন্দ হবেন বিচারবিভাগীয়।
পূর্ণ টার্ম পেপারটি পেতে-০১৭৩৭৭৩১০৮৫
0 comments:
Post a Comment