প্রথম অধ্যায়
১.১ ভূমিকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোন একটি ঘটনা বা একক কোনো ব্যাক্তির অবদানের ফসল নয়। বরং হাজারো বছরের এ অঞ্চলের মানুষের লড়াকু মনোভাবের অর্জন এ স্বাধীনতা। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলন একটি অনবদ্য ঘটনা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি স্থায়ী উপনিবেশ পরিণত করার হীন ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের স্বৈরচারী শাসকরা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অন্যায় ও অবৈধ যুদ্ধ শান্তিপ্রিয় বাঙালিদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল, তারই ফলশ্রুতি হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের ভূমিকা এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিশেষ করে তৎকালিন দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিবেচিত ভারত ও চীনের ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ ভাবে আলোচিত হয়ে থাকে। আরোও অনেক বিদেশী রাষ্ট্র আছে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে বিভিন্ন ভাবে অবদান রাখে এবং কোনো কোনো দেশ বিরোধীতা করে। যাই হোক অবশেষে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তার কাঙ্খিত বিজয় অর্জন করে এবং বিশ্বের মানচিত্রে সংযোজিত হয় নতুন একটি রাষ্ট্র যার নাম বাংলাদেশ।
১.২ গবেষণার উদ্দেশ্য
টার্ম পেপারের গবেষণা কাজটির উদ্দেশ্য সমূহ
১. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা ও পটভূমি
২. মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন সম্পর্কে জানা
৩. স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে জানা
৪. মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন বাহিনীগঠন এবং ১১টি সেক্টর
৫. বিদেশী প্রচার মাধ্যম সম্পর্কে জানা
৬. মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী পরাশক্তির ভূমিকা ও বৈরী মনোভাব সম্পর্কে জানা
৭. বন্ধি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রক্রিয়া এবং বিচারে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা।
মোট কথা, টার্ম পেপার বিভিন্ন ঘটনাবলি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধিতিতে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে। এছাড়া বিশ্লেষণকৃত ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেক সমস্যার সুপারিশ করা হয় টার্ম পেপারে। সুতরাং শুধু শিক্ষানবিশ গবেষক নয় বরং জাতীয় অনেক সমস্যার প্রকৃত চিত্র নির্ণয় ও তা সমাধানের লক্ষ্যে গবেষকদের সাহায্য করে।
১.৩ গবেষণা পরিধি
ভূমিকা, মুক্তিযদ্ধের পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন আন্দোলন, স্বাধীনার ঘোষণা, বিভিন্ন বাহিণী গঠন এবং উহার অবদান, মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী শক্তির ভূমিকা এবং বৈরী মনোভাব ও বন্ধি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রক্রিয়া এবং বিচারে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
১.৪ গবেষণা পদ্ধতি
আলোচ্য টার্ম পেপারটি রচনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন লেখকের বই, পত্র পত্রিকা জার্নাল, সমীক্ষা, ইন্টারনেট, অন্যান্য প্রকাশনাকে তথ্য সংগ্রহের সেকেন্ডারী ডাটা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া সেকেন্ডারী ডাটা হিসাবে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করা হয়েছে ইন্টারনেট ও সম্প্রতিকালে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকার উপর।
১.৫ সাহিত্য পর্যালোচনা
যে কোনো গবেষনা পত্র তৈরী করতে গেলে সাহিত্য পর্যালোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ............ এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য বই জার্নাল গুলো হলো-
মুনতাসীর মামুন ও অন্যান্য : স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কামরুদ্দিন আহমেদ ঃ স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক সালাম, নাসির ও নজরুল : স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদেয়র ইতিহাস, রফিকুর রশীদ: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর , প্রফেসর ইয়াসমীন আহমেদ ও রাখী বর্মণ : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক উন্নয়ন, পান্না কায়সার: মুক্তিযুদ্ধ, আগে ও পরে।
উপরোক্ত গ্রন্থগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে
ভুমিকা আলোচনা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি জাতীয পর্যায়ের সেমিনারে। এই টার্ম পেপারে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে
ভুমিকা সম্পর্কে বিশেষ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
১.১ ভূমিকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোন একটি ঘটনা বা একক কোনো ব্যাক্তির অবদানের ফসল নয়। বরং হাজারো বছরের এ অঞ্চলের মানুষের লড়াকু মনোভাবের অর্জন এ স্বাধীনতা। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলন একটি অনবদ্য ঘটনা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি স্থায়ী উপনিবেশ পরিণত করার হীন ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের স্বৈরচারী শাসকরা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অন্যায় ও অবৈধ যুদ্ধ শান্তিপ্রিয় বাঙালিদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল, তারই ফলশ্রুতি হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের ভূমিকা এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিশেষ করে তৎকালিন দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিবেচিত ভারত ও চীনের ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ ভাবে আলোচিত হয়ে থাকে। আরোও অনেক বিদেশী রাষ্ট্র আছে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে বিভিন্ন ভাবে অবদান রাখে এবং কোনো কোনো দেশ বিরোধীতা করে। যাই হোক অবশেষে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তার কাঙ্খিত বিজয় অর্জন করে এবং বিশ্বের মানচিত্রে সংযোজিত হয় নতুন একটি রাষ্ট্র যার নাম বাংলাদেশ।
১.২ গবেষণার উদ্দেশ্য
টার্ম পেপারের গবেষণা কাজটির উদ্দেশ্য সমূহ
১. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা ও পটভূমি
২. মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন সম্পর্কে জানা
৩. স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে জানা
৪. মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন বাহিনীগঠন এবং ১১টি সেক্টর
৫. বিদেশী প্রচার মাধ্যম সম্পর্কে জানা
৬. মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী পরাশক্তির ভূমিকা ও বৈরী মনোভাব সম্পর্কে জানা
৭. বন্ধি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রক্রিয়া এবং বিচারে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা।
মোট কথা, টার্ম পেপার বিভিন্ন ঘটনাবলি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধিতিতে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে। এছাড়া বিশ্লেষণকৃত ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেক সমস্যার সুপারিশ করা হয় টার্ম পেপারে। সুতরাং শুধু শিক্ষানবিশ গবেষক নয় বরং জাতীয় অনেক সমস্যার প্রকৃত চিত্র নির্ণয় ও তা সমাধানের লক্ষ্যে গবেষকদের সাহায্য করে।
১.৩ গবেষণা পরিধি
ভূমিকা, মুক্তিযদ্ধের পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন আন্দোলন, স্বাধীনার ঘোষণা, বিভিন্ন বাহিণী গঠন এবং উহার অবদান, মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী শক্তির ভূমিকা এবং বৈরী মনোভাব ও বন্ধি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রক্রিয়া এবং বিচারে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
১.৪ গবেষণা পদ্ধতি
আলোচ্য টার্ম পেপারটি রচনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন লেখকের বই, পত্র পত্রিকা জার্নাল, সমীক্ষা, ইন্টারনেট, অন্যান্য প্রকাশনাকে তথ্য সংগ্রহের সেকেন্ডারী ডাটা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া সেকেন্ডারী ডাটা হিসাবে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করা হয়েছে ইন্টারনেট ও সম্প্রতিকালে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকার উপর।
১.৫ সাহিত্য পর্যালোচনা
যে কোনো গবেষনা পত্র তৈরী করতে গেলে সাহিত্য পর্যালোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ............ এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য বই জার্নাল গুলো হলো-
মুনতাসীর মামুন ও অন্যান্য : স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কামরুদ্দিন আহমেদ ঃ স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক সালাম, নাসির ও নজরুল : স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদেয়র ইতিহাস, রফিকুর রশীদ: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর , প্রফেসর ইয়াসমীন আহমেদ ও রাখী বর্মণ : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক উন্নয়ন, পান্না কায়সার: মুক্তিযুদ্ধ, আগে ও পরে।
উপরোক্ত গ্রন্থগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে
ভুমিকা আলোচনা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি জাতীয পর্যায়ের সেমিনারে। এই টার্ম পেপারে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে
ভুমিকা সম্পর্কে বিশেষ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।